কলাইকুণ্ডায় মোদী-মমতা সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। একদিকে কেন্দ্রের তরফে যেমন দাবি করা হয়েছে, মমতার জন্য প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পালটা নবান্নের তরফে দাবি করানো হয়েছে, মমতাকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে।
শুক্রবার দুপুরে কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে দেন মমতা। যদিও সেখানে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন সেই আশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন। এরই মধ্যে হঠাৎ মমতা এসে নথি দিয়েই বেরিয়ে যান।
পালটা নবান্নের তরফে দাবি করা হয়েছে, এদিন প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট দেরিতে কলাইকুণ্ডা পৌঁছবেন বলে প্রথমে জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে। সেই মতো সাগরের প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করে কলাইকুণ্ডার উদ্দেশে হেলিকপ্টারে ওঠেন মমতা। এর পর কলাইকুণ্ডার আকাশে প্রায় ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় অবতরণের জন্য। অবতরণের পরেও তাঁকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করানো হয়। জানানো হয়, বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন দেখা করতে পারবেন না। অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তাঁকে দিঘার বৈঠকে যেতে হবে বলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সুন্দরবনের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি করা হয়েছে।