বাচ্চাদের এড়িয়ে গটগট করে হেঁটে গেলেন মিঠুন, মহাগুরুর মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

কিছুটা হলেও মন খারাপ বাচ্চাদের। হাত মেলানোর সুযোগটাও মিস হয়ে গেল। একটু দাঁড়ালেই তো হত! প্রিয় নায়কের এই ব্যবহারকে ঘিরে ইতিমধ্যে চর্চা বাংলার রাজনীতির আঙিনায়।আসলে তিনি তো শুধু মহাগুরু নন, তিনি যে বিজেপির নেতাও।

মিঠুন চক্রবর্তী, অভিনেতা, বিজেপি নেতা (PTI Photo) (PTI)

২১শে মহারণে গোখরো সংলাপ দিয়ে বাজার মাত করে দিয়েছিলেন বাংলার মহাগুরু তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এনিয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। আর এবার মিঠুনের মন্তব্যকে ঘিরে ফের শোরগোল বাংলায়। আসলে আসানসোল জেলা বিজেপি দফতর থেকে বের হওয়ার সময় একদল বাচ্চা মিঠুনের সামনে চলে এসেছিল। তাদের দেখেই তিনি বলে ওঠেন চল চল! মতান্তরে চল ভাগ! আর বিজেপির কোর কমিটির সদস্য তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

কেন মিঠুন এভাবে বাচ্চাদের দেখে চল ভাগ বললেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এভাবে কি বাচ্চাদের তাড়িয়ে দেওয়া শোভা পায় মিঠুনের? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে এনিয়ে মিঠুন নিজে অবশ্য এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটি? সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ভিডিয়ো যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।

গত শনিবার আসানসোল জেলা অফিস থেকে বেরিয়ে আসছিলেন বিজেপির তাবড় নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রথমে পার্টি অফিস থেকে বের হন। আর পার্টি অফিসের বাইরে তখন বাচ্চাদের ভিড়। মিঠুন দাদাকে একবারে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা। একবার হাত মেলানোর ইচ্ছে স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে। বাচ্চাদের দেখে তিনি বলেন, কী রে তোরা এখানে কী করছিস! এরপর পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। নিরাপত্তার কঠোর বেষ্টনীর পাশ দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল বাচ্চারা। আর আচমকাই সামনে মিঠুনকে দেখে একেবারে হামলে পড়ে বাচ্চার দল। একেবারে হইহই ব্যাপার। তখনই মিঠুন গম্ভীরভাবেই বলে ওঠেন, চল চল। অনেকের মতে তিনি নাকি বলেছিলেন চল ভাগ!। এরপর মিঠুন সোজা উঠে পড়়েন গাড়িতে।

কিছুটা হলেও মন খারাপ বাচ্চাদের। হাত মেলানোর সুযোগটাও মিস হয়ে গেল। একটু দাঁড়ালেই তো হত! প্রিয় নায়কের এই ব্যবহারকে ঘিরে ইতিমধ্যে চর্চা বাংলার রাজনীতির আঙিনায়।আসলে তিনি তো শুধু মহাগুরু নন, তিনি যে বিজেপির নেতাও।