তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন পেরোনোর আগেই পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। শালবনীর ঘটনায় এখন চূড়ান্ত তৎপর পুলিশ। গতকাল রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছে। আর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল। এখনও পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এদিকে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে ছিলেন অভিষেক। সন্ধ্যায় রোড–শো শেষে তাঁর কনভয় যখন শালবনীর দিকে যাচ্ছিল তখন কুড়মিরা স্লোগান তোলেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন অশান্তির আকার নেয়। কনভয়ে ইট–পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাঁচ ভাঙে। একাধিক গাড়িতে ইট মারা হয়। পরপর গাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। তখন অভিষেক হুঁশিয়ারি দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মিদের মুখ খুলতে হবে। না হলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে। অভিষেকের কনভয়ে হামলা ও মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আজ, শনিবার আটক করা হল চারজনকে।
অন্যদিকে আজ, শনিবার শালবনী যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় থাকবেন তিনি। আর সেখান থেকে কড়া বার্তা দেবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। গতকাল কনভয় হামলার পর অভিষেক নিজে অভিযোগ করেন, তিনি ওই বিক্ষোভকারীদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনেছেন। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মি নেতাদের এই নিয়ে বিবৃতির দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘যদি তা না হয় তা হলে ধরে নেওয়া হবে তাঁরাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।’ ইতিমধ্যেই চারজন আটক হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে কনভয় হামলার ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তাতেই উদ্যোগ নেয় পুলিশ। তারপরই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ঝাড়গ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ, শনিবার মোট চারজনকে পুলিশ আটক করেছে । তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নাম জানানো হয়নি। তদন্তের স্বার্থে চলছে দফায় দফায় জেরা।