বর্ষা এলেই প্রবল বর্ষনে নদীগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেইসঙ্গে জলের তোড়ে তছনছ হয়ে যায় অনেক নদীবাঁধ।তাই এবার আগেভাগে এই ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন।ড্রোন উড়িয়ে দেখা হচ্ছে নদী বাঁধগুলির বর্তমান অবস্থা।ড্রোনের সাহায্যে ছবি তোলা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলির।জেলা প্রশাসনের কাছে তা পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে, যাতে দ্রুত মেরামতির কাজে নামা যায়।
সম্প্রতি কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে নদীবাঁধগুলি সরজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।রবিবার থেকে বিভিন্ন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই কাজ শুরু হয়েছে।ড্রোন নিয়ে বিভিন্ন নদীবাঁধের কাছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।বাঁধের খুব কাছ থেকে ওই ড্রোনটিকে ওড়ানো হচ্ছে।নদীবাঁধের যেসব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব জায়গার ছবি তোলা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে।ফলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সুবিধা হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তুফানগঞ্জ মহকুমার যে সব এলাকাগুলি বন্যাপ্রবণ, সেই সব এলাকায় নদীবাঁধের বর্তমান অবস্থা কী রয়েছে, তা দেখার জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।সম্প্রতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বর্ষা আসার আগেই যাতে ওই সব নদীবাঁধগুলি দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করে নেওয়া যায়, সেজন্যই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।ব্লক প্রশাসনের তরফে নদীবাঁধগুলির ছবি তুলে তা জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হচ্ছে।সেইমতো বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বিধংসী তাণ্ডবলীলার পর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অনেক নদীবাঁধই ভেঙে যায়।গত বছর আমফানের সময়ে ওই সব নদীবাঁধগুলি মেরামত করা হয়েছিল।কিন্তু এক বছরের মধ্যে কীভাবে সেই সব নদীবাঁধ ভেঙে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নদীবাঁধ নির্মাণে সেচ দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।নদীবাঁধগুলির ওপর যে বিশেষ ধরনের ঘাস লাগানো প্রয়োজন, তা এখনও না লাগানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।এই সব কথা মাথায় রেখেই এবার বর্ষা আসার আগে নদীবাঁধের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন, যা প্রতিফলন পাওয়া গেল কোচবিহারে।