কোচবিহারে ৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, দোলের দিন তুলকালাম কাণ্ড

অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজও এলাকাবাসী সোচ্চার হয়ে রয়েছেন। দোলে দিনে–দুপুরে কেমন করে এমন ঘটনা ঘটল সেটা নিয়ে এখন আতঙ্কিত সকলে। শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা নাবালিকাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানে ছুটে যায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উৎসবের নাম দোল। আর সেদিনই বেঁধে গেল গোল। কারণ দোলের দিন নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরবঙ্গের জেলা কোচবিহার। মাত্র ৬ বছর বয়স শিশুকন্যার। তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই শিশুকন্যাকে ফুঁসলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর সেখানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নারকীয় ঘটনার জেরে শিশুটি এখন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আর তাই দোষী যুবকের শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

এদিকে কোচবিহারে মেখলিগঞ্জে শুক্রবার দিনের ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা এলাকা যখন দোল উৎসবে মেতে উঠেছিল, তখনই মেখলিগঞ্জ এলাকার চ্যাংড়াবান্ধায় এই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা শিশুটির পরিবারও মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা। গতকাল রং খেলায় শিশুর পরিবার–সহ এলাকার প্রায় প্রত্যেকেই মেতে উঠেছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন বাচ্চার সঙ্গে খেলছিল ওই ৬ বছরের শিশুকন্যাও। তখন অভিযুক্ত যুবক তাকে ঘুড়ি দেওয়ার নাম করে ফুঁসলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাঁচ টাকা হাতে দিয়ে ওই শিশু কন্যাকে নিয়ে যায় যুবক বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে পরিবার সূত্রে খবর, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়ে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তখন তার মা জানতে চায় তার কী হয়েছে। তখনই ওই শিশু কন্যা তার মাকে যা বলে তাতেই পুরো ঘটনা সামনে চলে আসে। তখন থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষজন। তাদের নাবালিকা মেয়েকে দেখে পরিবারের সদস্যরা বিচলিত হয়ে পড়েন। কারণ ধর্ষণের জেরে নাবালিকার যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এই ঘটনার পর শিশুকন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের জেরেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজও এলাকাবাসী সোচ্চার হয়ে রয়েছেন। দোলে দিনে–দুপুরে কেমন করে এমন ঘটনা ঘটল সেটা নিয়ে এখন আতঙ্কিত সকলে। শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা নাবালিকাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানে ছুটে যায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা জানান, মেখলিগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে প্রতিবেশী ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মেখলিগঞ্জ থানার এক অফিসার জানান, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশিষ পি সুব্বা বলেন, ‘‌ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত বিচার হবেই।’‌