কোচবিহারে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। একেবারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ওই ব্যবসায়ীকে মুক্তির জন্য মুক্তিপণ বাবদ ৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি এলাকায় সুবারণ মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
তবে সেই অপহরণের খবর পাওয়ার পরেই ফাঁদ পাতে পুলিশ। পুলিশও অপহরণকারীদের ধরতে নানা কৌশল নেয়। শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে ধরা পড়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সাদা পোশাকের পুলিশ লুকিয়ে ছিল এলাকায়। তারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করে ধরে ফেলে।
কীভাবে অপহরণ করা হয়েছিল?
রাত ১ টা নাগাদ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলেছিলেন বাড়ির লোকজন। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন। এরপরই ওই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে ফেলে তারা। তারপর চম্পট। বাড়ির লোক কিছু বুঝে ওঠার আগেই অপারেশন।
এরপর শনিবার মাঝরাত থেকে ফোন আসতে থাকে। আগে টাকা দাও। তারপর ফেরত দেওয়া হবে। এদিকে কোথায় টাকা দিতে হবে সেই অবস্থান বার বার বদলাতে থাকে অপহরণকারীরা। এনিয়ে পরিবারের লোকজনেরও সন্দেহ হয়। এরপর তারা গোটা ঘটনা নিশিগঞ্জ থানায় জানান।
এরপরই ঠিক হয়, কোচবিহার-মাথাভাঙা রাজ্য সড়কের দলং মোড় এলাকায় টাকা দিতে হবে। সেই মতো টাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সেখানেই ফাঁদ পাতে। দেড় লাখ টাকা পরিবারের সদস্যরা দেন অপহরণকারীদের। এদিকে পুলিশও সেই সুযোগটা কাজে লাগায়। সাদা পোশাকের পুলিশ সঙ্গেই ছিল। তারা অভিযুক্ত অপহরণকারী পাঁচজনকে ধরে ফেলে। পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করে। গাড়ির ভেতর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই ব্যবসায়ীকে। তবে এভাবে তৎপরতার সঙ্গে অপহরণকারীদের গ্রেফতারির ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।
সম্প্রতি মালদা থেকে এক নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। খবর আসে পুলিশের কাছে। ওই শিশুকে বাইকে চাপিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে তার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্য়ে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মনসুর আলম,এজাজ আহমেদ। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলেও এনিয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল, 'মালদা থেকে অপহৃত নাবালিকা, রায়গঞ্জ থেকে উদ্ধার সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে। আর এবার সফল হল কোচবিহার পুলিশ।