শীতলকুচির ঘটনার জেরে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হল। পাশাপাশি ভোটের দিন সিআইএসএফ-এর গুলিতে ৪ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যের তরফে। কোচবিহারের নয়া পুলিশ সুপার করা হল আইপিএস কে কান্নানকে।
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চার তৃণমূল কর্মী। এরপরই ভোটে জিতে মমতা সরাসরি কোচবিহারের এসপি-র বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগও তুলেছিলেন। শীতলকুচির ঘটনার জন্যেও পরোক্ষ ভাবে তাঁকেই দায়ী করেছিলেন মমতা। 'পরে দেখে নেওয়ার'ও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে রদবদল প্রত্যাশিত ছিল।
সেই মতোই এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা ঘোষণা করেন, ডিজি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বীরেন্দ্র এবং জাভেদ শামিমকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে রদবদলের পাশাপাশি কমিশনের নির্দেশে যাঁরা পুলিশের বিভিন্ন শীর্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন তাঁদের বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁর বদলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক হলেন পূর্ণেন্দু মাঝি। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসাবে ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রতি বাড়তি পক্ষপাতিত্ব দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল স্মিতা পান্ডের বিরুদ্ধে।