তৃণমূলে যোগদান করলেন তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর ওপর হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ধনঞ্জয় দেবনাথ। শুক্রবার কোচবিহারের এক দলীয় কর্মিসভায় তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দিনহাটা পুরসভার উপ পুরপ্রধান সাবির সাহা চৌধুরী। আর তৃণমূলে যোগদান করেই ধনঞ্জয়ের দাবি, ‘আমি উদয়নবাবুর ওপর আক্রমণ করিনি। আমি তো বাঁচাতে গেছিলাম।’ ওদিকে অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপির দাবি, ধনঞ্জয় তো তৃণমূলেই ছিল। নতুন করে যোগদান করার কী আছে?
২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায় দিনহাটায় পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী উদয়ন গুহ। বিজেপি প্রার্থী তথা স্থানীয় সাংসদ নিশীথ অধিকারীর কাছে ১০০-রও কম ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে বাড়ি ফেরার সময় দিনহাটা শহরে আক্রন্ত হন উদয়বাবু। অভিযোগ, বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি অজয় রায়ের নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। মারধরে উদয়নবাবুর হাত ভাঙে। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সুস্থ হন তিনি। ওই ঘটনায় হামলাকারীদের তালিকায় নাম ছিল ধনঞ্জয়েরও। তাঁর বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর ধনঞ্জয়ের দোকান ভাঙচুর করে তৃণমূল। বেশ কিছুদিন ফেরার ছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই ধনঞ্জয়ই তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে বললেন, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে কাজ করতে চাই।
তৃণমূলে যোগদান করে ধনঞ্জয় বলেন, ‘আমি উদয়নবাবুকে মারিনি। ওনার ওপর আক্রমণ করেছিলেন অজয় রায়। আমি তো ওনাকে বাঁচাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অজয় রায় আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে’।
অজয়বাবু বলেন, সম্পূর্ণ ভ্রান্ত অভিযোগ। উদয়ন গুহকে মারধরে আমি যুক্ত নই। আর ধনঞ্জয় তো তৃণমূলেই ছিল। ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ তো উদয়নবাবু করেছেন। আমি তো কোনও অভিযোগ করিনি। ওর আবার তৃণমূলে যোগদান করার কী আছে?
উদয়নবাবুর ওপর হামলার ঘটনার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধায়ক পদে শপথ নেননি নিশীথ অধিকারী। এর পর দিনহাটা উপনির্বাচনে ফের তৃণমূলের প্রার্থী হন উদয়ন। রেকর্ড ভোটে জেতেন তিনি। তার পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।