বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > সরকারি হাসপাতালে মা ও ৩ দিনের সদ্যোজাতকে নিয়ে ভেঙে পড়ল খাট

সরকারি হাসপাতালে মা ও ৩ দিনের সদ্যোজাতকে নিয়ে ভেঙে পড়ল খাট

ভেঙে পড়া সেই খাট।

শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ প্রসূতি বিভাগের বেডে শুয়ে ছিলেন তিনি। তখনই হঠাৎ ভেঙে পড়ে বেডটি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীরা এসে মা ও শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেন। সাহায্য করেন অন্য প্রসূতিরাও। এর পর সদ্য মা হওয়ার চুমকি দেবীর অস্ত্রোপচারের ক্ষতে যন্ত্রণা শুরু হয়।

মা ও ৩ দিনের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি হাসপাতালের বেড। শনিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। প্রসূতির স্বামীর দাবি, এব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

গত ১ নভেম্বর প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন চুমকি দাস। ২ নভেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ শিশুকন্যার জন্ম দেন তিনি। শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ প্রসূতি বিভাগের বেডে শুয়ে ছিলেন তিনি। তখনই হঠাৎ ভেঙে পড়ে বেডটি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীরা এসে মা ও শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেন। সাহায্য করেন অন্য প্রসূতিরাও। এর পর সদ্য মা হওয়ার চুমকি দেবীর অস্ত্রোপচারের ক্ষতে যন্ত্রণা শুরু হয়। শিশুটিও বার বার কাঁদতে থাকে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন প্রসূতির স্বামী বিপ্লব দাস। হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

বিপ্লববাবু বলেন, ‘আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে আমার সঙ্গে কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন। আমার বাচ্চা বারবার কাঁদছে। জানি না ওর কী হয়েছে।’

হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি অধিকারী বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজনে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা খাট দুর্বল হয়ে গেলেই তা বদলে দিই। কিন্তু এদিন কোনও কারণে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

এই ঘটনায় রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন জয়ন্তবাবু। কিন্তু মহকুমাশাসক বাপ্পা গোস্বামী বলেন, ‘ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। খোঁজ নিয়ে কথা বলছি।’

কোচবিহার ও অসমের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ভরসা তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল। ১৫০ শয্যার এই হাসপাতালের অধিকাংশ বেডের অবস্থা শোচনীয় বলে দাবি রোগীর আত্মীয়দের।

 

বন্ধ করুন