একের পর এক মৃত্যু। গোটা রাজ্য জুড়েই। নানাভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে সরকার। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি অবসাদগ্রস্ত করে দিচ্ছে অনেককেই। তেমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সার্ফের মোড় এলাকার বাসিন্দা মনিকা নিয়োগী কয়েকদিন আগেই করোনা পরীক্ষা করান। তবে তাঁর রিপোর্ট আসেনি। কিন্তু করোনার উপসর্গ রয়েছে তাঁর শরীরে। সেকারণে তিনি আইসোলেশনেই ছিলেন।
অন্যদিকে তাঁর স্বামী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এলাকাটিকেও কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এদিকে এসবের মধ্যে শনিবার ওই বাড়ির ছাদে ৫৭ বছর বয়সী মনিকা নিয়োগীকে অস্বাভাবিকভাবে পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। পাশে পড়েছিল মুড়ি ও ফিনাইলের শিশি। পুলিশ ও পুরকরকর্তৃপক্ষের দাবি, সম্ভবত অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা। কিন্তু কিসের থেকে এই অবসাদ? স্বামী করোনায় আক্রান্ত বলে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে অভিজ্ঞমহলের ধারণা করোনার দাপট তো রয়েছেই। এর সঙ্গেই মনের মধ্যে জাঁকিয়ে বসছে নানা ধরণের ভয়। অবসাদও গ্রাস করছে অনেককে। এব্যাপারে বাড়ির অন্য়ান্যদেরও সতর্ক থাকা দরকার।