করোনা সংক্রমণ নিয়ে বুধবার ঘুসুড়ির টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন সালকিয়ার মৌমিতা ঘোষ। ৬ দিন ধরে হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার শিকার হওয়ার পর বাধ্য হয়ে মুখ খোলেন তিনি। চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরকারি ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরব হন। সোমবার রাত ৮টার পর থেকে একের পর এক ফেসবুক লাইভ করতে থাকেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেগুলি।
ফেসবুকে লাইভে মৌমিতা বলেন, ‘প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। পানীয় জল নেই। সাহায্য চেয়ে বারবার ডাকছি। কিন্তু কেউ আসছে না। কোনও নার্স আসছে না। কেউ আমার কথা কানে তুলছে না। কোনও খাবার দিচ্ছে না। ডিম দিলেও, সেটি পচা।’
লাইভ করা ওই ভিডিও রাতেই ছড়িয়ে পড়তে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তাঁরা তাঁকে ওই ভিডিও ফেসবুক থেকে মুঝে দিতে বলেন। কিন্তু সে কথায় আমল দেননি মৌমিতা। এর পরও ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘থার্মোমিটার চেয়েছিলাম কিন্তু নেই। রক্তচাপ মাপার যন্ত্র খারাপ। শৌচালয়েও জল নেই।’ সারা রাত জল না থাকলেও সকালে শৌচালয়ে জল সরবরাহ করা হয়।
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও চোখে পড়ে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সকাল সকাল তিনি হাসপাতালে যান। মৌমিতার করা সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
এতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলেও মৌমিতা এদিন সকালে ফেসবুক লাইভেই অভিযোগ তোলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা বারবার তাঁর কাছে এসে তাঁর মোবাইল নিতে চাইছেন। যদিও কোনওমতেই তাঁর মোবাইল দিতে নারাজ মৌমিতা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ফেসবুকে তাঁর পরিচিত তথা নেট–নাগরিকরা।