পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য প্রান্তের মতো হুগলির ছবিটাও কার্যত এক। সেখানেও পুরসভা এলাকায় অ্যাফেক্টেড বা 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ঢের বেশি। হাতেগোনা কয়েকটি রয়েছে গ্রামীণ এলাকায়।
রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী, 'এ' কনটেনমেন্ট জোন বা সবথেকে প্রভাবিত সংক্রামক এলাকার তালিকায় হুগলির ২৯ টি এলাকা আছে। তার মধ্যে ২৩ টিই রয়েছে পুর ও পুরনিগম এলাকায়। একইসঙ্গে জেলার 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে আরও একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন পরিলক্ষিত হয়েছে। যা রাজ্য়ের অধিকাংশ জেলার নিরিখে এক। অর্থাৎ কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্য়েই বেশিরভাগ অ্যাফেক্টেড জোন আছে।
হুগলির ক্ষেত্রে রিষড়া পুরসভার আওতায় ছ'টি 'এ' কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। ভদ্রেশ্বর পুরসভার মধ্যে পাঁচটি অ্যাফেক্টেড জোন পড়ছে। চারটি 'এ' কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে শ্রীরামপুর পুরসভা এলাকায়। অর্থাৎ পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, রিষড়া, ভদ্রেশ্বর এবং শ্রীরামপুর পুর এলাকায় জেলার ৫০ শতাংশের বেশি অ্যাফেক্টেড জোন রয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রামীণ এলাকার ছ'টি 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে তিনটিই রয়েছে শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকে। এছাড়া তারকেশ্বর, চুঁচুড়া-মগরা এবং সিঙ্গুর ব্লকে একটি করে অ্যাফেক্টেড জোন রয়েছে।
জেলার বাকি 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে চন্দননগর পুরনিগম ও চাঁপদানি পুরসভার দুটি করে এলাকা 'এ' কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়া বৈদ্যবাটি, তারকেশ্বর এবং হুগলি-চুঁচুড়া পুর এলাকার একটি করে জায়গা অ্যাফেক্টেড জোনের আওতায় রয়েছে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে লকডাউনে কোনওরকম বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। শুধু অত্যাবশ্যকীয় গতিবিধি বা কাজে ছাড় মিলবে।