পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে করোনাভাইরাসের দাপট বেশি দেখা গিয়েছে। মালদহের ক্ষেত্রেও বদলায়নি সেই ছবিটা। জেলার দুটি ব্লক হরিশচন্দ্রপুর এবং মানিকচকে ৬০ শতাংশ অ্যাফেক্টেড বা 'এ' কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে।
অথচ একটা সময় মালদহে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক এবং আটকে পড়া তীর্থযাত্রীরা জেলায় পৌঁছানোর পরই আক্রান্তের বাড়তে থাকে। ফলস্বরূপ জেলায় বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা।
রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী, মালদহে 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২০ টি। তার মধ্যে শুধুমাত্র হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকেই সাতটি জায়গাকে অ্যাফেক্টেড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানিকচক এবং পুরাতন মালদহ ব্লকে 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচটি এবং তিনটি। অর্থাৎ তিনটি ব্লকেই জেলার ৭৫ শতাংশ অ্যাফেক্টেড এলাকা রয়েছে।
বাকি 'এ' কনটেনমেন্ট জোনগুলির মধ্যে দুটি কালিয়াচক-১ ব্লকের আওতায় পড়ছে। এছাড়া হাবিবপুর, রতুয়া-১ এবং ইংলিশবাজারে একটি করে এলাকা অ্যাফেক্টেড হিসেবে চিহ্নিত।
রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওই ২০ টি এলাকায় আগামী ১৫ জুন কঠোরভাবে লকডাউন চলবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় মিলবে। অন্যদিকে, বাফার তথা ‘বি’ এবং ক্লিন তথা ‘সি’ কনটেনমেন্ট জোনে শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন গতিবিধি এবং কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।