বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > '৩০,০০০-৪০,০০০ টাকা চাইছেন', আবাস যোজনায় 'কাটমানি' তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান

'৩০,০০০-৪০,০০০ টাকা চাইছেন', আবাস যোজনায় 'কাটমানি' তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান

কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব ছবি।

২০১১ সালের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।

একদিকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে দলে লেগে থাকা দাগ মুছে ফেলতে মরিয়া, সেখানে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মাশলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলুফার ইয়াসমিন, তাঁর স্বামী আবু সুফিয়ান, উপ-প্রধান ইসমাইল এবং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, এসডিও এবং বিডিওর কাছে। ১৪ জন গ্রামবাসী এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বেশ কয়েকজনের নামে ঘরের টাকা এসেছে। কিন্তু অভিযুক্তরা সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪০,০০০ টাকা কাটমানি চাইছেন। অভিযোগ, সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসী এম ডি আসিকুল মিঞা বলেন, 'আমরা কোনওভাবে ব্লক থেকে সেই লিস্ট বের করি। এরপর সেই তালিকা নিয়ে আমরা ব্লক সভাপতির কাছে যাযই। সেখানে কোনও কাজ না হওয়ায় আমরা বিডিওর কাছে যাই। বিডিও আমাদের নামের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেন। পরে পঞ্চায়েত প্রধানদের চাপে তিনি আর কোনও কাজ করতে চাননি। পরে আমরা এসডিও এবং ডিএমের কাছে অভিযোগ জানাই।'

যদিও, এলাকার বিডিও এবিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর যাঁরা বঞ্চিত আছেন, তাঁদের শীঘ্রই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল আলম জানান, যাঁরা এই অভিযোগ করেছেন. তাঁরা সকলেই অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি। বাড়ি রয়েছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন্ধ করুন