বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে এই ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুললেন, সম্মেলনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব কোনও টেন্ডার ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয় কেন?
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর একটা বাৎসরিক উৎসব হয়। এখনও পর্যন্ত যেকটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে তাতে ১৪ - ১৫ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু ১৪ - ১৫ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে দেখতে পাচ্ছেন কোথাও। উলটো দিকে ২০২১ সালের পরে ডাবরের কারখানা পালিয়েছে। কেশরাম রেয়ন বন্ধ হয়েছে। নৈহাটি, ভদ্রেশ্বর জুটমিল। ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানা সব বন্ধ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ লোক রয়েছে। তাকে এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। টেন্ডার ছাড়া ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এই টাকা ঝাড়ার জন্য এটা করা হয়েছে।’
তৃণমূল জমানায় রাজ্যের শিল্পের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। এজন্য মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি নীতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূল সরকারের SEZ বিরোধী ও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী নীতির ফলে বড় শিল্পপতিরা পশ্চিমবঙ্গ বিমুখ হচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের। যদিও পশ্চিমবঙ্গের যুবাদের ভিনরাজ্যে গিয়ে শিল্পেই শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। বিষয়টি একপ্রকার মেনে নিয়েছে তৃণমূলও। তাই রাজ্য সরকারের তরফে কখনওই পশ্চিমবঙ্গে ভারী উৎপান শিল্পে বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয় না। বরং মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা যায়, পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এক নম্বরে।