পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এবার তদন্তকারীদের হাতে এসেছে অত্যন্ত চমকপ্রদ তথ্য। সূত্রের খবর, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে নিজের দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে হার-জিত নিয়ে ৫ লক্ষ টাকার বাজি ধরেন তপন কান্দু। আর সেই মতো এক ব্যবসায়ীর কাছে তাঁরা টাকাও জমা রাখেন। কিন্তু ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু। এরপরই স্বাভাবিকভাবেই বাজিতে হেরে যান নরেন। তারপর থেকেই নাকি ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ আরও বাড়তে থাকে নরেনের। নিহত তপন কান্দুর পরিচিত ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে বাজিতে হেরে যাওয়ার বদলা নিতেই কি চিরতরে সরিয়ে দেওয়া হল তপন কান্দুকে? তবে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই পুলিশ নরেন কান্দুর ছেলে দীপককে গ্রেফতার করেছে। তিনি এবার তৃণমূলের টিকিটে কাকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ঝাড়খন্ড থেকে ভাড়া করা সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে তপন কান্দুকে। এনিয়ে আততায়ীর স্কেচও প্রকাশ করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে কার পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন তপন কান্দু? যে জন্য একেবারে সরিয়ে দিতে হল তাঁকে। এর পেছনে কি পারিবারিক ইগোর লড়াই নাকি রাজনৈতিক কারণ রয়েছে খুনের পেছেন? তবে পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।