বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পুরসভার ওয়ার্ড অফিস থেকে উধাও চেয়ার, মেঝেতে বসেই পরিষেবা দিচ্ছেন কাউন্সিলর

পুরসভার ওয়ার্ড অফিস থেকে উধাও চেয়ার, মেঝেতে বসেই পরিষেবা দিচ্ছেন কাউন্সিলর

কল্যাণী পুরসভা। ফাইল ছবি।

নদিয়ার কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওরাও। তৃণমূলের টিকিটে জিতে তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন।

চেয়ার, টেবিল নেই পুরসভার ওয়ার্ড অফিসে। প্রাক্তন কাউন্সিলর নাকি ওই সমস্ত চেয়ার-টেবিল নিজের বাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছেন। আবার বেশকিছু রেখে দিয়েছেন তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এমন অবস্থায় অফিসের মেঝেতে বসেই পরিষেবা দিচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণী পুরসভায়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওয়ার্ড অফিসের চেয়ার, টেবিল প্রাক্তন কাউন্সিলর কীভাবে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

নদিয়ার কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওরাও। তৃণমূলের টিকিটে জিতে তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে ওয়ার্ড অফিসের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু, দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তিনি দেখেন অফিসে চেয়ার-টেবিল এমনকি আলমারি এবং অন্যান্য আসবাবপত্রও গায়েব রয়েছে। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর রমেন্দ্রনাথ বাইনের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, ‘সেগুলি দিয়ে উনি কী করেছেন সেটা উনি নিজেই জানেন।’ এরইমধ্যেই এই ঘটনায় তিনি পুর প্রধানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার। তিনি বলেন, ‘পাশেই তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিসে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। ভুল করে সেই অনুষ্ঠানের জন্য চেয়ারগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু চেয়ার ইতোমধ্যেই তাঁর বাড়িতে রেখে গিয়েছেন। তাহলে আলমারিই বা কেন নিয়ে যাওয়া হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আর এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যকর্তা সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে যদি তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা না নেয় তা হলে জানতে হবে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।’

বন্ধ করুন