একদিকে ঊর্ধ্বমুখী করোনা তার ওপর বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, জমা জল অথবা নোংরা নালা, নর্দমা থেকে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় একটি মামলার ভিত্তিতে জুট মিল কর্তৃপক্ষকে পুকুর পরিষ্কার করার নির্দেশ দিলে আদালত। হাওড়া পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের করুণা পুকুর রোডের কলোনী এলাকায় এই পুকুর পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আরও মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরসভার সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই এলাকায় ৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সকলে সুস্থ হয়ে গেলেও আবার নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। এরপরে পুরসভার অধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করে দেখতে পান ওই পুকুরটিতে জুট মিলের বর্জ্য পদার্থ মিশছে। অথচ প্রায় এক যুগ ধরে পুকুর পরিষ্কার করা হয়নি। এরপর পুরসভার আধিকারিকরা গত ২৮ জুন কর্তৃপক্ষকে পুকুর পরিষ্কারের নির্দেশ দেন। তারপরে ১৫ জুলাই পুরসভার আধিকারিকরা পুকুর পরিদর্শন করে দেখেন তখনও পুকুর পরিষ্কার করা হয়নি। এরপরে হাওড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুরসভা কর্তৃপক্ষ জুটমিলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গত ১৬ জুলাই আদালত মিল কর্তৃপক্ষকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুকুর পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও নির্দেশ ২২ জুলাই মিলের ম্যানেজারকে আদালতে হাজির হতে হবে। ইতিমধ্যেই পুকুর পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিশাল আকার পুকুর এত কম সময়ে কীভাবে পরিষ্কার হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জুট মিল কর্তৃপক্ষ। আদালতের আরও নির্দেশ রয়েছে পুকুর ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার না হলে সে ক্ষেত্রে মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেলুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।