ফাঁকা বাড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। দু’বছর আগের সেই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কিশোরী। পরে পরিবারের তরফে কিশোরীর গর্ভপাত করানো হয়। সেই সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত যুবককে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রাম পকসো আদালত। এর পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন। (আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীতের 'অপমান' করার অভিযোগ নীতীশের বিরুদ্ধে, সামনে এল ভিডিয়ো, তোপ RJD-র)
আরও পড়ুন: কী হয়েছিল সেই রাতে? আপনার কাছে ভিডিয়ো ফুটেজ? আরজি কর তদন্তে সিবিআই ডাকল নার্সকে
মামলার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবকের নাম অপূর্ব দাস। যুবকের বাড়ি বাঁকুড়া হলেও ঝাড়গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। দু’বছর আগে ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল যুবক। অভিযোগ, সেখানেই ওই আত্মীয়ের প্রতিবেশীর বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সেই বিষয়টি জানাজানি হতে দেরি হয়নি। তবে লোকলজ্জার ভয়ে সেই সময় কিশোরীর পরিবার চুপ ছিল। তারা থানা পুলিশ করেননি সেই সময়। বেশ কয়েক মাস পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়ে। ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা তার গর্ভপাত করান। তবে এর পরেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ঘটনায় তাকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। এরপর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা । ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অপূর্বকে গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়, তড়িঘড়ি ডাকা হল কলেজিয়ামের বৈঠক)
আরও পড়ুন: হামাস যোগে ধৃত ভারতীয়কে দেশছাড়া করতে পারবেন না ট্রাম্প, নির্দেশ মার্কিন আদালতের
অন্যদিকে, এ নিয়ে মামলা চলতে থাকে পকসো আদালতে। তদন্ত শেষ করে দু’মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। মামলায় মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। এই সমস্ত কিছু সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপূর্বর দোষ খুঁজে পায় আদালত। বুধবার ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় অপূর্বকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আর তারপরের দিন বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে কারাদণ্ড দেন। এবিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানান, দোষীকে ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার টাকা দিতে না পারলে আরও ৩ মাস অতিরিক্ত জেল হবে অভিযুক্তের।