প্রসাদ খাওয়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। প্রায় ৬ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে সাজা ঘোষণা করল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। একইসঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক অরিন্দম মিশ্র এই সাজা ঘোষণা করেছেন। তবে অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় ধর্ষণের সেরকম ভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। (আরও পড়ুন: 'মেয়েদের দুটো জায়গার চুল ছাড়া অন্য জায়গার চুল কাটা হারাম')
আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-অত্যাচার, যৌনাঙ্গে ২৮টি সেলাই, ধৃত কিশোর
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর। ওইদিন ছিল কালীপুজো। সেই রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে প্রসাদ খাওয়ানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যেতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, সেই সময় ওই ব্যক্তি গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে মহিলা বাড়ি ফিরে সমস্ত বিষয় তাঁর স্বামীকে জানান। এর ভিত্তিতে প্রায় এক সপ্তাহ পর বর্ধমান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ। ঘটনায় তদন্তে নেমে পরের দিনই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। (আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৭ বাংলাদেশি হিন্দু আটক, তবে ৩ দালাল ধরতে ব্যর্থ BGB)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ‘সফাই অভিযান’ শাহের পুলিশের, গ্রেফতার আরও ১২ বাংলাদেশি
বর্ধমান দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুরু হয় মামলার বিচার। সেই মামলায় পরের বছর ১০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার পর চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালত চার্জ গঠন করে। সাক্ষীদের বয়ান নেওয়ার পাশাপাশি ফরেন্সিক এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আদালত। অবশেষে মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। (আরও পড়ুন: হরিয়ানায় পুরভোটে পচা শামুকে পা কাটল বিজেপির, মেয়র নির্বাচনে হার পদ্ম প্রার্থীর)
আরও পড়ুন: রেশন কার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যোগ নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় রাজ্যের
অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, জরিমানার টাকা দিতে না পারলে আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে অভিযুক্তকে। এছাড়া নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার সরকারি আইনজীবী সুদর্শনা ঘোষ জানান, বিচারক নির্যাতিতাকে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলায় ধর্ষণের তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। মেডক্যাল ও ফরেন্সিক পরীক্ষায় সেরকম কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়নি।