বাড়িতে টিউশন পড়াতে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রায় তিন বছর মামলা চলার পর অবশেষ গৃহ শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। কান্দি মহকুমার বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সোমা দাস আজ বৃহস্পতিবার এই সাজা ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি গৃহ শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি। ঘটনাটি কান্দির হাজারপাড়া নবগ্রাম এলাকার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের সপ্তম শ্রেণির মেয়েকে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন গৃহ শিক্ষক। ঘটনায় নির্যাতিতার মা কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মেয়েকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইল করছিল গৃহশিক্ষক। পরে পুলিশ ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে মামলা চলছিল কান্দি মহকুমা আদালতে।
এই মামলায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টসহ একাধিক প্রমাণ পেশ করে পুলিশ। ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর গতকাল বুধবার বিচারপতি তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন। গৃহ শিক্ষককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। সেইসঙ্গে জরিমানার টাকা না দিতে পারলে অতিরিক্ত ৪ বছর কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়বে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারক। তবে প্রায় তিন বছর পর বিচার পাওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার।