করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও সমাজের অমানবিক আচরণে ব্যথিত দার্জিলিঙের বাসিন্দা দুই নার্স অঞ্জলি রাই ও প্রতীকা প্রধান।
দু’জনের বাড়ি যথাক্রমে লেবং ও তিনধারিয়ায় হলেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে তাঁরা শিলিগুড়িতে বসবাস করেন। অঞ্চলের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী কালিম্পঙের এক মহিলার সেবায় তাঁরা নিযুক্ত ছিলেন।
গত ৩০ মার্চ তাঁর মৃত্যুর পরে করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হলে তাঁদেরও ৪ ও ১১ এপ্রিল ওই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাঁদের রাজ্য সরকারের চিহ্নিত করা শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়।
পরে অঞ্জলির ২২ বছরের ছেলে, তাঁর স্বামী ও মা-ও করোনা সংক্রামিত হন। অঞ্জলি ও তাঁর মা সেরে উঠলেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্বামী ও ছেলে।
মনের জোর সম্বল করে দুর্ধর্ষ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জিতলেও সামাজিক অমানবিকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই সেবিকাই। প্রতীকা জানিয়েছেন, সংকট মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করলেও যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না।
তবে সুস্থ হয়ে শিলিগুড়ির বাড়িতে ফিরলে প্রতিবেশীরা স্বাগত জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অঞ্জলি রাই। তিনধারিয়াতেও স্থানীয় বাসিন্দারা ফুল উপহার দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রতীকা প্রধানকে।