অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় পায়ে হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে রাস্তাতেই মৃত্যু হল এক করোনা আক্রান্তের। বৃহস্পতিবার বারাসত -১ নম্বর ব্লকের বামনগাছির ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর পরও কোনও সাহায্য পাননি স্থানীয়দের থেকে। দীর্ঘক্ষণ রাস্তাতেই পড়ে থাকে তাঁর দেহ।
মৃতের স্ত্রীর দাবি, অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই প্রৌঢ়। গত ৮ অগাস্ট তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর পর ফোন করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানান ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, ফোনে জানালেও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাননি তাঁরা। ব্যবস্থা হয়নি হাসপাতালে ভর্তিরও।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করার চেষ্টা করেন তাঁরা। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় নিজেই হেঁটে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তখনই রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, রাস্তায় ব্যক্তির মৃত্যু হলেও তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউ। মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তাতেই পড়ে থাকে।
যদিও উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দফতর থেকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, গতকালই ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়ছে। সঙ্গে তাঁকে বারাসতের একটি সরকার অধিগৃহীত বেসরকারি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়। কিন্তু তখন ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করতে রাজি হননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি বলে যে অভিযোগ পরিবারটি করেছে তাও খণ্ডন করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, বারাসত ১ নম্বর ব্লকের BMOH ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই অ্যাম্বুল্যান্স কোথায় গেল তার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার CMOH.