দিনকয়েক আগেই মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর লকডাউন থেকে ফুল চাষি, বিড়ি শ্রমিক ও পান চাষিদের ছাড় দেওয়া হল। তবে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর পড়ুন : করোনা সংকটে বিউটি কুইনের মুকুট খুলে মানুষের সেবায় ফিরল বাঙালি কন্যা ভাষা
লকডাউনের জেরে প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন রাজ্য-সহ সারা দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা। আর্থিক অনটনে ভুগছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শ্রমিকরা বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধেন। পরিবারের একাধিক সদস্য সেই কাজে যুক্ত থাকেন। তবে এই মুহূর্তে একসঙ্গে অনেকে কাজ করার অনুমতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'নিয়ম মেনে বাড়িতে বসে দু'তিনজন বিড়ি বাঁধলে ও নির্দিষ্ট বজায় রেখে সর্বোচ্চ সাতজন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে। বাড়ি থেকে (এজেন্টদের) সেই বিড়ি সংগ্রহ করে শিল্পে (বাজারে) বিলি করতে হবে।'
আর পড়ুন : আরও পড়ুন : Coronavirus Update: দেশে করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ছাড়াল, রাজ্যে ১০০-র কাছে
একইভাবে ফুল ও পান চাষিদের গতিবিধিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউনের জেরে মেদিনীপুর, হাওড়া, সুন্দরবন, হুগলির অসংখ্য চাষি বাজারে ফুল নিয়ে আসতে পারছেন না। সেদিকটি বিবেচনা করে তাঁদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। গাড়িতে করে তাঁরা ফুল আনতে পারবেন। কলকাতার ফুলবাজারগুলিও খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের এলাকায় ফুল বিক্রি করা যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পান চাষিদের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে আনাজপাতি নষ্ট এড়াতে কিষাণ মান্ডিও খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে সরকার।
আর পড়ুন : 'বাড়িতেই শ্যুটিং' ফিল্ম পরিবারের, অমিতাভ-প্রসেনজিতদের উদ্যোগের প্রশংসায় মোদী
বিধিনিষেধ শিথিল হলেও কোনওভাবেই নিয়মভঙ্গ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতা। তিনি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। বাজারে গেলে মাস্ক পরতে হবে। বাজার কমিটিগুলিকে সংশ্লিষ্ট বাজারের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ী।