রাজ্যে একলাফে বাড়ল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই আয়ুর্বেদিক সমাধানগুলি জেনে রাখুন
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের বণিক মহলের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১২ টি। একইসঙ্গে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে রাজ্যে এখনও ৮০ জনের শরীরে করোনা রয়েছে।' তিনি আরও জানান, এক মহিলাও করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু, তাঁর সন্তানের করোনা রিপোর্ট এখনও নেগেটিভ আসেনি। মমতার আশা, 'আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাঁরাও হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাবেন।'
আরও পড়ুন : Covid-19: ঢালাও টাকা ছেপে গরীবদের দেওয়া উচিত, পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
এদিন আবার ফের রাজ্যের মানচিত্র তুলে ধরে দেখান, কোথায় কোথায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সেখানে বেশি নজরদারি দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এই সাত-আটটি জায়গায় বেশি করোনায় ছড়িয়েছে। সেখানে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। হাওড়াতে বেশ নজরদারি দেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন : ১৯৩০-এর গ্রেট ডিপ্রেশনের পরে অর্থনীতির এতটা খারাপ হাল কখনো হয়নি- IMF
করোনা মোকাবিলায় একাধিক বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীগুলিকেও এগিয়ে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি গোষ্ঠীকে একটি করে বাজারের দেখভাল করার আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারও তৈরির পরামর্শ দেন। তাতে সায়ও দেন শিল্পপতিরা।
আরও পড়ুন : করোনা রুখতে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করুন, শিখে নিন ধাপে ধাপে পদ্ধতি
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, রাজ্যের যে কলকারখানাগুলির ছাড়পত্র আছে, সেগুলি কাজ চালানো যাবে। আরও কোনও শিল্প যদি কাজ শুরু করতে চায়, সেজন্য আবেদন করারও নির্দেশ দেন। তা রাজ্য সরকার পর্যালোচনা করে দেখবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে সবক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্বের নীতি মেনে চলতে হবে। কর্মীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : লকডাউনের পরে রেলসফরের প্ল্যান? জেনে নিন নতুন নিয়মাবলী
বৈঠকে উপস্থিত এক শিল্পপতি জানান, তাঁর হোটেলে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বানানোর জন্য তুলে দিয়েছেন। সেখানে যাঁরা রান্নার কাজ করছেন, পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের স্বাস্থ্য বিমায় আনার আর্জি জানান। তাতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে জানাতে বলেন তিনি।
নি।