গত ন'দিন সাংবাদিক বৈঠক করছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়া প্রচার কৌশল নিল বিজেপি।
‘ভয় পেয়েছে মমতা’ (#BhoyPeyechheMamata) হ্যাগট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য ও জাতীয় স্তরের একাধিক ছোটো-বড়মাপের নেতা সেই ট্যাগ দিয়ে ইতিমধ্যে টুইট শুরু করেছেন। ফেসবুকেও সেই ট্যাগ ব্যবহার করছেন।
একটা সময় রোজ সাংবাদিক বৈঠক করতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল থেকে সাংবাদিক বৈঠকে আসছেন না মমতা। বরং মুখ্যসচিব বা স্বরাষ্ট্র সচিব (বেশিরভাগ সময়) সাংবাদিক বৈঠক করছেন। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, কেন্দ্রের চাপে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় মমতা আমলাদের ঠেলে দিয়ে নিজের মুখ বাঁচাচ্ছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ন'দিনের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির জাতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাতে অবশ্য পালটা খোঁচা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়ান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠক করি ও সব প্রশ্ন গ্রহণ করি। যে কোনও সংকটের মুহূর্তে আমাজের মুখ্যমন্ত্রী সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকেও একটাও প্রশ্ন নেননি।’ বরং বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটর রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তিনি।
তবে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়ে শুধু আক্রমণ করলে নিজেদেরই মুখ কিছুটা পুড়তে পারে আঁচ করে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। শনিবার একটি টুইটবার্তায় বিজেপির জাতীয় যুগ্ম সাধারণ সচিব (সাংগঠনিক) শিবশংকর বলেন, পিপিই কিটে অসামঞ্জস্যতা, মৃতের সংখ্যা লুকানো, রেশন দুর্নীতি - শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছে। ধৈর্য ধরুন। মানুষ জবাব দেবে। ভয় পেয়েছে মমতা।' এছাড়াও মুকুল রায়, অর্জুন সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্যের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।