করোনাভাইরাসের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধের। তাঁর শেষকৃত্য ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল আলিপুরদুয়ারের শালকুমারে। গ্রামবাসী ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েকজন। পুলিশের গুলিতে স্থানীয় এক যুবক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : বাংলার ৭৮ জনের র্যাপিড টেস্ট, করোনা পজিটিভ কলকাতার ২ বাসিন্দা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালচিনি ব্লকের তিনচুলা টি-এস্টেটের এক ৬০ বছরের ব্যক্তিকে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তপসিখাতায় ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। দিনকয়েক আগেই সেটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়।নাম গোপন রাখার শর্তে মাদারিহাট থানার এক পুলিশকর্মী জানান, রবিবার সকালে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেদিনই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : Covid-19: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ৩৪৬১ কোটি দিল কেন্দ্র
রবিবার রাতেই শেষকৃত্যের জন্য তোর্সা নদীর চরে যায় পুলিশ। ততক্ষণে সেখানে অনেক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যু হওয়ায় লুকিয়ে শেষকৃত্য করা হচ্ছে। এরইমধ্যে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতে। দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আহত হন মাদারিহাট থানার ওসি-সহ আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: প্রায় ২০ দিন নয়া করোনা আক্রান্ত নেই, জলপাইগুড়ি-কালিম্পঙে কেন্দ্রীয় দল কেন, ক্ষোভ মমতার
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, 'কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একজন পুলিশ অফিসারকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।'
আরও পড়ুন : এক দিনে ৫৩, কেন্দ্রের খাতায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৪০০ ছুঁইছুঁই
এদিকে, বৃদ্ধের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মৃতের পরিবারের সদস্য-সহ চারজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: রাজ্যে করোনা টেস্টের কিটে সমস্যা আছে, স্বীকার NICED-এর