কেন্দ্র ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে চা বাগান খোলার অনুমতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, চা বাগান খুলতে পারে। তবে সব শ্রমিকরা একসঙ্গে যোগ দিতে পারবেন না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিনে ১৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই আয়ুর্বেদিক সমাধানগুলি জেনে রাখুন
চায়ের মরশুমের ক্ষেত্রে এপ্রিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময়ে যে চায়ের পাতা তোলা হয়, তার কদর বেশি। চায়ের দামও সর্বাধিক মেলে। এই পরিস্থিতিতে চা বাগান বন্ধের জেরে আশঙ্কার প্রহর গুনছিলেন মালিক-শ্রমিকরা। পরে কেন্দ্র অনুমতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ সেই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাংও সমর্থন জানিয়েছিলেন। তবে চা বাগান মালিকদের একাধিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়, চা গাছ বাঁচানোর ক্ষেত্রে এই সময় বাগান খোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: প্রথম রাজ্য হিসেবে লকডাউন বাড়াল প্রতিবেশী ওড়িশা
সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে চা বাগান খোলার অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে তিনি বলেন, অনেকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চা পাতার উপরের অংশ কেটে না দিলে পরবর্তী পর্যায়ে আর ভালো চা উৎপাদন হবে না। ফলে পরের মরশুমটা নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোট শ্রমিকদের সর্বাধিক ১৫ শতাংশ কাজের (অনুমতি দেওয়া হচ্ছে)।'
আরও পড়ুন : Covid-19: ঢালাও টাকা ছেপে গরীবদের দেওয়া উচিত, পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধিও মেনে চলতে হবে। কারণ উত্তরবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। মমতার কথায়, 'তবে ঠিকভাবে স্যানিটাইজেশন করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এটা মাস্ট। এটা চা বাগান মালিকদের ঠিক করতে হবে শ্রমিকদের সঙ্গে বসে। আরে চালু তো করুন। কাজ তো শুরু করুন, তারপর দেখা যাবে। আজ এই ১৫ শতাংশ শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিলেন, কাল অন্য ১৫ শতাংশ শ্রমিকদের। পরেরদিন অন্য ১৫ শতাংশ শ্রমিকদের।'
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: করোনায় আক্রান্ত হাওড়া হাসপাতালের সুপার, গৃহ পর্যবেক্ষণে প্রায় ২০০
একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তির খবর দিয়েছে রাজ্য। প্রতি বছর মার্চের মধ্যে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করানো বাধ্যতামূলক। নাহলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। তবে এবার লকডাউনের জেরে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, 'যাতে মানুষকে টেনশনে থাকতে না হয়। মানুষকে যাতে সমস্যায় না পড়তে হয়। তারপরও সেরকম হলে আমরা অনলাইনে করে দেব। যাতে আপনাদের কোনও অসুবিধা না হয়।'