একে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামী, তার ওপর করোনা আক্রান্ত। ২ অগস্ট কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়ে যায় ভীম রাই (৫৩) নামে ওই আসামী। দার্জিলিংয়ের সিঞ্চল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের ১৫ বর্গ কিলোমিটার গভীর জঙ্গলে ১১ দিন ধরে খোঁজ চলে তার।
শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, ঙীমের খোঁজে রীতিমতো চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে সিআইএফ, সশস্ত্র সীমা বলের ডগ স্কোয়াড, বন দফতরের আধিকারিক, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে সে।
২০১১ সালে স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন জেল হয় ভীমের। ২৪ জুলাই তাকে অন্যদের সঙ্গে প্যারোলে মুক্ত করে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে ২ অগস্ট কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই সে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
১১ দিন খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে এক ট্যাক্সিচালক ভীমকে চিনতে পেরে জোড়বাংলো থানায় খবর দেন। অবশেষে সে ধরা পড়ে। যদিও এর আগে তাকে একাধিকবার রঙ্গারুন জঙ্গলের আশপাশে লোকজন দেখে, চিনতেও পারে, কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে তাকে কেউ ধরার সাহস করেনি।
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানান, স্থানীয় যুবকদের থেকেও জোরে দৌড়চ্ছিল ভীম। পাথরও ছুড়ছিল। এক করোনা আক্রান্ত, যে ১১ দিন ধরে পালিয়ে বেরাচ্ছে, তার পক্ষে এ সব করা কি সম্ভব? এ দিকে, জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই না থাকায় তাকে ধরতে এতদিন দেরি হয়েছে। কারণ, পিপিই ছাড়া করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।
আপাতত ভীম দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাঁরা তাকে পাকড়াও করে, তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে।