চিকিৎসকদের একাংশের মতে, তৃতীয় ঢেউ এখন আর কড়া নাড়ছে না, ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ এখন তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের মধ্যেই আছে। এমনটাই দাবি করলেন এসএসকেএম হাসপতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ এখন তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। ড. দীপ্তেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে ড. অভিজিৎ চৌধুরীর মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকরা একই কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। তার চরিত্র বুঝতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, বড়দিন, নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে মহানগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে জনজোয়ার। তার পরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,০৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগের ২৪ ঘণ্টায় যে সংখ্যাটা ছিল ৬,০৭৮। অর্থাৎ একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২,৯৯৫ বা প্রায় ৫০ শতাংশ।
তারইমধ্যে টিকা নিলেও যে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই নাও মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রথমের দিকে যাঁরা করোনা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই সম্ভবত টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমে এসেছে। ফলে তাঁদের মধ্যে আবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে টিকা নেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন খুব সংক্রামক। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা মাস্ক ব্যবহার করার পাশাপশি ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রামক হাসপাতালে ভরতির সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন তাঁরা।