তৃণমূল পার্টি অফিসেই চলল ভ্যাকসিন ক্যাম্প। ভাঙড়ের স্থানীয় তৃণমূল নেতা অহেদালি শেখের উদ্যোগেই চলে এই ক্যাম্প। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রশাসনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল, এলাকার আইসিডিএস সেন্টারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসতেই ভ্যাকসিন ক্যাম্পটিকে পার্টি অফিস থেকে সরিয়ে আবার আইসিডিএস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
এদিন ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের খড়ম্বা এলাকায় প্রশাসনের তরফে একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এদিন এই ক্যাম্পে আসা মানুষদের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। মোট ১৫০ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের তরফে খড়ম্বার আইসিডিএস সেন্টারে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, বৃষ্টির শুরু হওয়ায় ও জায়গার কিছুটা অভাবে আইসিডিএস সেন্টারে ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানো যায়নি। তাই সেই ক্যাম্প তৃণমূলের পার্টি অফিসে সরিয়ে আনা হয়। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আহেদালি শেখের তত্বাবধানে ভ্যাকসিন ক্যাম্প শুরু হয়। দলীয় নেতা নিজের মন মত করে এই ক্যাম্প চালাচ্ছিলেন।
এরপরই গোটা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে যায়। খবর পেয়েই প্রশাসনের আধিকারিকরা ক্যাম্প সরিয়ে ফের আইসিডিএস সেন্টারে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। সেই মতো ফের আইসিডিএস সেন্টারে শুরু করা হয়। স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন, আইসিডিএস সেন্টার বলে দেওয়া সত্বেও কীভাবে এই ক্যাম্প তৃণমূলের পার্টি অফিসে হল, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কাজ না হয়, সেই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন ক্যাম্পটিকে যে আইসিডিএস সেন্টার থেকে সরিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনও খবর ছিল না। এদিকে গোটা বিষয়টির সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ভ্যাকসিন খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। যাঁরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।