টিকাকরণের শুরুর দিনও কেন্দ্র এবং রাজ্যের দ্বন্দ্বের ‘প্রতিরোধ’ গড়ে উঠল না। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক করোনাভাইরাস টিকা পাঠায়নি কেন্দ্র। রীতিমতো অসহযোগিতা করছে। প্রয়োজনে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির থেকেও রাজ্য টিকা কিনতে পারে বলে জানালেন তিনি।
শনিবার নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকা কেন্দ্রের আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন মমতা। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক সারেন। সেখানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কম টিকা পাঠানোর অভিযোগ করেন তিনি। কীভাবে টিকা কেনা যায়, তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের আলোচনা করেন। মমতা অভিযোগ করেন, কম পরিমাণে টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সেজন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আরও টিকা পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) থেকে পণ্যবাহী বিমানে করে কলকাতায় কোভিশিল্ড আনা হয়। মোট ৮৩ টি বাক্সে করে মোট ৬৮৯,০০০ ডোজ (৬৮,৯০০টি ভায়াল) করোনা টিকা এসেছে।
একইসঙ্গে শুধু প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধাদের নন, রাজ্যের সব মানুষকেই বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য প্রয়োজন পড়লে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির থেকেও সরাসরি টিকা কিনতেও রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন।পরে রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুধুমাত্র করোনা যোদ্ধারা নয়, পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছা, যত দ্রুত সম্ভব বাংলার মানুষ বিনামূল্যে টিকা পান। প্রয়োজনে রাজ্য সেই টিকার খরচও বহন করতে পারে।'
তবে মমতার সেই অনুরোধের পর বিজেপি থেকে উড়ে এসেছে কটাক্ষ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ খোঁচা দিয়ে জানান, কোথা থেকে মুখ্যমন্ত্রী টিকা কিনবেন? কালীঘাট থেকে? নাকি চিন থেকে? টিকার মধ্যে তো গঙ্গাজলও ভরে দিতে পারেন। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা (কাটোয়া এবং ভাতারের বিধায়ক টিকা নিয়েছেন) টিকা নেওয়ার পর আর কম টিকা পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করলে কী হবে?