প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হন বৃদ্ধা। তাতে তার মৃত্যুও হয়। কিন্তু মৃত্যুর পরও বৃদ্ধার ছেলের কাছে চলে এল দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই তাজ্জব ঘটনা ঘটেছে ডানকুনিতে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে থাকতেন সরস্বতী দাস (৬২)। চলতি বছর গত ২৩ মার্চ করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। এক মাস পর ২৯ এপ্রিল সরস্বতী দাসের মৃত্যু হয়। এরপর কয়েক মাস পর ২০ নভেম্বর সরস্বতী দেবীর দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট মেসেজে পান তাঁর ছেলে বিরাজ। মেসেজে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে শংসাপত্র সংগ্রহের কথা জানানো হয়। দেখেই অবাক হয়ে যান সরস্বতী দাসের ছেলে। একজন মৃত ব্যক্তির নামে কীভাবে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট আসতে পারে?
মৃতের ছেলে বিরাজ দাস জানিয়েছেন, তাঁর মা অসুস্থ হয়ে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। পরীক্ষা করার পর তাঁর করোনা ধরা পড়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের মোবাইল এখন তিনিই ব্যবহার করেন। গত শনিবার দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ আসে। সেই মেসেজেই সরস্বতী দাসের নাম, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর সবই রয়েছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে এই বিভ্রান্তির ঘটনা সামনে আসার পরই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। ডানকুনি মণ্ডলে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গুঞ্জন চক্রবর্তী জানান, প্রশাসনে যাঁরা টিকাকরণের দায়িত্বে রয়েছেন, আসলে তাঁদেরই গাফিলতি। দুর্নীতির কারণেই একজন মৃত ব্যক্তিকে টেনে আনা হচ্ছে। যদিও দুর্নীতির বিষয়টি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন ডানকুনি তৃণমূল যুব সভাপতি শম্ভু সাউ। তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ যান্ত্রিক ত্রুটি। ডেটা এন্ট্রিতে ভুল থাকার কারণেই এটা হয়েছে।