অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়িতে বুধবার দফায় দফায় তল্লাশি সিবিআইয়ের। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সেহেগালের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআইএসএফ। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা সায়গলের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্রের খোঁজ করছেন। প্রসঙ্গত মাস খানেক আগেই গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। রাত পর্যন্ত প্রায় ১৬ ঘণ্টা এই তল্লাশি চলে। তবে রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
কিন্তু কে এই সায়গল? স্থানীয়দের দাবি, তাঁর বাবাও পুলিশের এসআই হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুব্রতর রক্ষী হিসাবে নিয়োজিত হওয়ার কিছুদিনের পরেই যেন সব কিছু বদলাতে শুরু করে। ক্রমেই প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে তাঁর। একাধিক ডাম্পার, জমি, বাণিজ্যিক ভবন, বিরাট বাড়ি দেহরক্ষীর সম্পত্তি কার্যত চোখে পড়ার মতোই। এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের। কীভাবে এত প্রতিপত্তি? খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
তবে সিবিআই কর্তারা এনিয়ে কোনও কিছু জানাতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, বাড়ির বিভিন্ন দিক তাঁরা ঘিরে দেখেন।ছাদেও চলে তল্লাশি। দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসাবে কর্মরত তিনি। ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত তিনি।
এদিকে গরু পাচার মামলায় আগে থেকেই সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরও হয়েছিলেন। ফের বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। আর ঘটনাচক্রে তার আগের দিনই তাঁর দেহরক্ষীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করল সিবিআই।