খড়দহ বিধানসভা উপনির্বাচনে ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি অনেক দূরে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি ও সিপিএমকে। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম তেমন দাগ কাটতে না পারলেও এবারের উপনির্বাচনে কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে রাজ্যের এই দুই বিরোধী শক্তির মধ্যে। তবে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার মরিয়া চেষ্টা চালালেও সফল হল না সিপিএম। তবে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান খুবই কমেছে
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই খড়দহ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬টি ভোট। শতাংশ বিচারে যা ৭৩.৫৯ শতাংশ। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ২৫৪টি ভোট। তিনি ১৩.০৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১০টি ভোট। তিনি ১০.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ফলাফলের শেষে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেও গণনা প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি রাউন্ড সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ড ভোট গণনার শেষেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় সিপিএম। দশম রাউন্ড পর্যন্ত এই একই ট্রেন্ড চলে। এরপর দশম রাউন্ডের শেষে সিপিএমকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বিজেপি। গণনা শেষে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ৪,১৪৪টি ভোট।
গত বিধানসভা ভোটে অবশ্য এই কেন্দ্রে বিজেপি দ্বিতীয় হলেও তৃতীয় স্থানে থাকা সিপিএমের থেকে ভোটের ব্যবধান বেশি ছিল। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত পেয়েছিলেন ৬১,৬৬৭টি ভোট। শতাংশের বিচারে যা ৩৩.৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে এবারের সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস সেবারে লড়ে পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৯১৬টি ভোট, শতাংশের বিচারে যা ১৪.৭০ শতাংশ। দুই দলের মধ্যে তখন ভোটের ব্যবধান ছিল ৩৪ হাজার ৭৫১টি ভোট। অর্থাৎ এবার আর আগের বারের তুলনামূলক বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে ভোটের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় এবারে বিজেপি ও সিপিএম দুই দলেরই প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমেছে।