সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতারের পর জামিন পেতেই এবার তেড়েফুঁড়ে পথে নামতে চলেছে সিপিএম। তার উপর আজ, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালির মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহানকে। তাতে আরও অক্সিজেন পেয়েছে সিপিএম। অথচ এই গ্রেফতার কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি করেনি। বরং এই বড় অপারেশন করেছে রাজ্য পুলিশ। সাফল্য পেয়েছে তারা। এই আবহে আগামী ১০ মার্চ, রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘জনগর্জন সভা’ ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডের সভার দিনেই সিপিএম সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানায়। তবে গতকাল বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুধু সন্দেশখালি নয়, ১০ মার্চ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ ১০টি জায়গায় র্যালি করবে সিপিএম।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না আদালতের জন্যই বলে দায়ী করেছিলেন অভিষেক। তারপর অভিষেকের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে ছাড়পত্র দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই সাফল্য পায় রাজ্য পুলিশ। যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই ১০টি জায়গায় সভা হবে। তবে জায়গাগুলি এখনও চূড়ান্ত নয়। কদিনের মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যাবে।’ গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আভাস রায়চৌধুরীকে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলে যাচ্ছে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুট মিল, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খুশি শ্রমিকরা
এদিকে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় সিপিএম। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে সিপিএমও নিজেদের ভাবমূর্তি মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাইছে। তাতে যদি একটা–দুটো আসন পাওয়া যায়। আর তাই ১০ মার্চের পরে আরও কিছু সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম বলে সূত্রের খবর। তবে ১০ মার্চ নির্দিষ্ট করে ১০টি জায়গায় সমাবেশ করবে লালপার্টি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই ১০টি জায়গা চূড়ান্ত করছে তারা। একইদিনে সন্দেশখালিতেও সভা করতে চায় সিপিএমের নেতারা। তবে মুর্শিদাবাদ এবং যাদবপুর এই দুটি জায়গায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে এটা সবাই বুঝতে পারছেন আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডে বড় জমায়েত হবে। মানুষের ভিড় জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এখান থেকেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই সিপিএম ওই দিনই পাল্টা সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে প্রত্যেক জেলায়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সেই জমায়েত করবে সিপিএম। তবে সিপিএমের উদ্দেশ্য বিরোধী পরিসরে বাড়তি নিজেদের ‘অস্তিত্ব’ প্রমাণ করা।