শুক্রবারই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একযোগে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিল তৃণমূল, সিপিএম সহ ১৯টি বিরোধী দল। আর শনিবারই মেদিনীপুর শহরের কর্ণেলগোলা এলাকায় সিপিএম নেতাদের দেখে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় অনেকেরই। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিনও নারায়ণ বিদ্যাভবনে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে ফর্ম পূরণ করতে হবে, ফর্মে কোনও ভুল ভ্রান্তি থাকছে কি না এনিয়ে অনেকেই বেশ আতান্তরে পড়ে যান। এবার সেই উপভোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন সিপিএম নেতৃত্ব। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কাছেই আলাদা হেল্প ডেস্ক খুললেন সিপিএম নেতৃত্ব। এই ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
তবে সিপিএম সহায়তা দেওয়ার বিনিময়ে কারোর কাছ থেকে কোনও টাকাপয়সা নেননি। একেবারে বিনামূল্যে পরিষেবা। বাসিন্দারাও সিপিএম নেতৃত্বের এই ভূমিকায় অত্যন্ত খুশি। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও অনেকের মনের কোণেই উঁকি দিচ্ছে সেই প্রশ্ন, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পরিষেবা যথাযথ রাখতে কাস্তে হাতুড়ির এভাবে এগিয়ে আসার পেছনে কি কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া রয়েছে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুকুমার আচার্যের দাবি, ‘সরকারে যেই থাকুক না কেন সে যদি মানুষের জন্য কিছু করতে চায় তবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘মানুষের পাশে থাকার কথা সবাই বলেন। কাজে কম লোকই করেন। সিপিএম এ ধরনের কাজ করছে। ওদের ধন্যবাদ জানাই।’ আর বিজেপির দাবি, ‘তোমার দু আনা, আমার দু আনা করেই তো বন্ধুপনা শুরু হয়েছে। এখানে তো রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’