তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে বেশ কিছু সমবায় নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বামেরা। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা। তবে এই বাম-রাম জোট ভালো চোখে দেখছেন না সিপিএম-এর শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবেহ শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে দলের তরফে। ইতিমধ্যেই সমবায় ভোটে রাম-বাম জোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্ব বলেছে, যাঁরা এমন জোটের সঙ্গে যুক্ত, এমন দলীয় সদস্যকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
উল্লেখ্য, রাম-বাম জোট নিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এই আবহে রাজ্য স্তরের রাজনীতিতে চাপের মুখে পড়েছে বামেরা। সেই চাপের পালটা জবাব দিতেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিলেন বাম নেতৃত্ব। সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের জোট গঠন করা কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করে লিফলেট ছড়ানো হবে।
নিরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, ‘সর্বভারতীয় স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত বিজেপি এবং তৃণমূলকে একই নজরে দেখে দল। দলের একটাই লাইন তা হল, বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ঐক্যকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই আবহে যাঁরা বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করেছেন, তাঁদের দল সমর্থন করে না। দল এই জোটকে স্বীকৃতি দেয়নি। যাঁরা এই ধরনের জোটে রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে বহিস্কার করা হবে। তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করে লিফলেট বিলি করা হবে।’ এদিকে তাঁর আরও বার্তা, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি কোনও দলীয় সদস্য নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান, সেক্ষেত্রেও বুঝে নিতে বিষয়টি গোলমেলের। তখনও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সমবায় নির্বাচনে কোনও দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও দলীয় কর্মীরা ভোটে লড়েন। এই আবহে নন্দকুমারের সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপির নীচু তলার কর্মীরা যৌথ মঞ্চ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ে। এর ফলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা সেখানে ডাহা ফেল করে। এরপর তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গঠরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও যৌথ মঞ্চ গড়ে ওঠে। ৪ ডিসেম্বর সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগেই সিপিএমের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হল কর্মীদের।