পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-২ ব্লকের খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানকারই কাশীনাথপুর সমবায়ে নিরঙ্কুশ জয় পেল বামেরা। কারণ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কোনও প্রার্থীই দাঁড় করাতে পারল না এখানে। সমবায় সমিতির ১২টির সব আসনেই জয়ী হয় বাম প্রার্থীরা। চারটি আসনে অবশ্য বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল। তবে গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বামেদের ছুঁতে ব্যর্থ। এদিকে যেই দাসপুরে বর্তমানে তৃণমূলের দাপট রয়েছে, সেখানে সমবায় নির্বাচনে বামেদের নিরঙ্কুশ জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এহেন ফল এলাকায় বামেদের চাঙ্গা করে তুলবে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এই কাশীনাথপুর সমবায়েরই খুব কাছেই বাড়ি তৃণমূল ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহ রায়ের। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইতের বাড়িও এখানেই। দাসপুরের বিধায়কও তৃণমূলের। স্থানীয় খুকুড়দহ পঞ্চায়েত অবশ্য তৃণমূলেরই দখলে। অথচ কেন সমবায় নির্বাচনে প্রার্থী দিল না তৃণমূল? ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহ রায় মেনে নিয়েছেন, ‘কাশীনাথপুর সমবায়ে তৃণমূলের কোনও ভোটার নেই।’ এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতার পালটা অভিযোগ, ‘প্রার্থী দিলে তৃণমূল হেরে যেত। তাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারত। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা।’
উল্লেখ্য, এই সমবায়তে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল সাত বছর আগে। সেবারও বামেরাই জিতেছিল। এদিকে সমবায়ের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছিল দুই বছর আগে। তখন থেকে প্রশাসনিক বোর্ড সমবায় পরিচালনা করছিল। তবে সমবায়ে নির্বাচন চেয়ে বামেরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরে হাই কোর্টের নির্দেশেই ভোট হয়। এই সমবায়ের তিনটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিপিএম আগেই জিতে গিয়েছিল। এই আবহে রবিবার সমবায়ে ৯ টি আসনে ভোটাভুটি হয়। মোট ভোটার ৬৬৯ টি, ভোট পড়ে ৬৫১। সিপিএমের এক প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫৭৭ টি ভোট পান। অন্যদিকে, বিজেপির কোনও প্রার্থীর তরফে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮১ টি।