লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজনীতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের প্রবণতা। কেউ শাসক দল ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দিচ্ছে আবার কেউ বিরোধী শিবির থেকে যোগ দিচ্ছে শাসক দলে। সেরকমই সকালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এক সিপিএম নেতা। তবে ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দুপুরে ঘরওয়াপাসি করলেন ওই সিপিএম নেতা। উত্তর ২৪ পরগনার মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সফিকুল মণ্ডল সকালে আমডাঙ্গার তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে যোগদান করেন। তবে দুপুর হতেই তাঁর মোহভঙ্গ হয়। তিনি আবার সিপিএমে ফিরে যান। এত অল্প সময়ের মধ্যে দলে ফিরে আসার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। দলবদলের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম নেতা।
আরও পড়ুনঃ উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বিপ্লবের বিরুদ্ধে ECI- র দ্বারস্থ ত্রিপুরা CPM
জানা গিয়েছে, শনিবার আমডাঙার তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে ঘাসফুলে যোগদান করেছিলেন সফিকুল মণ্ডল সহ সিপিএমের একাধিক কর্মী সমর্থক। যোগদানের সময় তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, বাংলার মানুষ মমতামুখী এবং তৃণমূলমুখী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সিপিএমের সদস্যরা। সেখানে তৃণমূল ব্যাপকভাবে জয়ী হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে সিপিএম নেতার মোহভঙ্গ হতে অবশ্য দেরি হয়নি। তিনি দুপুরে সিপিএমের পতাকা হাতে নিয়ে আবার দলে ফিরে যান। এ বিষয়ে সফিকুল মণ্ডল জানান তাঁকে ভুল বুঝিয়ে এবং ব্ল্যাকমেল করে তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি কোনওদিনই দল ছাড়েননি। সিপিএমে ছিলেন এবং সিপিএমেই থাকবেন। উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য আহমেদ খানও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দলের সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১০ জন, সিপিএমের ৬ জন, বিজেপির ৭ জন এবং ১ জন হলেন নির্দল। সিপিএমের অভিযোগ, ছলে বলে কৌশলে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া।
আহমেদ খান জানান, সফিকুলকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এর আগে তৃণমূলের তরফে কখনও টাকা দেওয়ার পশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়েছে। সফিকুলের হাতে তৃণমূলের একটি পতাকা সহ ছবি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরে মিথ্যা প্রচার করা হয় যে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।