তৃণমূল হল ত্যাগী, সারদা - নারদা থেকে বাঁচতে বিজেপির পায়ে পড়েছে সিপিএম: মমতা

সঙ্গে সিপিএমকে আক্রমণ করে মমতার মন্তব্য, ‘সিপিএমকে দেখে লজ্জা হয়। এরা বিজেপির পায়ে পড়েছে নিজেদের চুরি বাঁচবার জন্য।

বুধবার বাঁকুড়ার জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  (PTI)

বিধানসভা ভোটের দামামা না বাজলেও উৎসবের মরশুম শেষ হতেই চড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক উত্তাপ। একে অপরকে লক্ষ্য করে চরম আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। বুধবার প্রায় ৮ মাস পর রাজনৈতিক জনসভায় সিপিএম – কংগ্রেস ও বিজেপিকে এক পংতিতে রেখে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপি ছাড়াও সিপিএমকে একের পর আক্রমণ করেন তিনি। সঙ্গে দলীয় কর্মীদের মমতা বলেন, তৃণমূল করতে গেলে ত্যাগী হতে হবে।

এদিন বাঁকুড়ার জনসভায় মমতা বলেন, ‘রাজনীতিতে তিন ধরণের লোক থাকে। একটা লোভী, একটা ভোগী, একটা ত্যাগী। সিপিএম আজকে সব থেকে বড় লোভী, বিজেপি হচ্ছে ভোগী আর তৃণমূল কংগ্রেস যদি করতে হয় আপনাদের হতে হবে ত্যাগী। ওদের পাল্লায় পড়বেন না’। 

সঙ্গে সিপিএমকে আক্রমণ করে মমতার মন্তব্য, ‘সিপিএমকে দেখে লজ্জা হয়। এরা বিজেপির পায়ে পড়েছে নিজেদের চুরি বাঁচবার জন্য। আরে আমরা তো তোমাদের কিছু করিনি। স্লোগান দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। চুরিও করেছো ডাকাতিও করেছো আরাম করে খেয়েও যাচ্ছো। এখন আবার বিজেপিকে ধরেছো। যাতে সারদা – নারদা তোমার না হয়। তুমিই কিন্তু করেছো’।

গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ২টি আসনই তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। জেলায় বিধানসভাওয়াড়ি ফলেও তৃণমূলের হাল শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে হালে পানি ফেরাতে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ফিল্ড ওয়ার্ক বাঁকুড়া থেকেই শুরু করলেন মমতা।