কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে অনেকেরই। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ পাননি অনেকেই। এর জেরে মারাত্মক উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, রবিবার পর্যন্ত নদিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার মানুষের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া বাকি থেকে গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় হাজার দশেক মানুষের ৬ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কোভ্যাক্সিনের যোগান কমে গিয়েছে। ভাঁড়ার ক্রমেই শূণ্য হয়ে গিয়েছে। এর জেরেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য থেকে কবে টিকা পাঠাবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে জেলা। নদিয়া জেলার ছবিটা আরও করুণ। নদিয়ায় এখনও পর্যন্ত যতজনকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন তার মাত্র ২৩ শতাংশ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এর সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এদিকে শনিবার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৯৫০জনকে ও ৩৪৩০জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কবে টিকার যোগান স্বাভাবিক হবে তা নিয়েও কোনও আশার কথা শোনাতে পারছেন না কেউই। গত ২০শে জুলাই রাজ্য থেকে জেলায় শেষবার কোভ্যাক্সিন এসেছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম। জেলাতে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৯৬০ ডোজ কোভ্যাক্সিন এসেছে। শুক্রবারই দেখা যায় জেলা ভ্যাকসিন স্টোর কার্যত ভ্যাকসিন শূন্য। সেক্ষেত্রে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্যদফতর।