উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে ভোটের জন্য ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও রয়ে গেছে। এর ফলে নেওয়া যাচ্ছে না দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন, বাহিনী ক্যাম্পাস না ছাড়লে বা বিকল্প ব্যবস্থা না হলে পরীক্ষাগুলি স্থগিত করতে হতে পারে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় অস্থায়ী রেজিস্ট্রার তথা পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক কলেজেই এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গেছে, ফলে পরীক্ষাগুলি সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদি রবিবার রাতের মধ্যে সমস্যা না মেটে, তাহলে সোমবার পরীক্ষা স্থগিতের কথা ঘোষণা করতে হবে।’
শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক অবোধ সিংহল জানিয়েছেন, ‘কলেজ থেকে সেনা জওয়ানদের সরানোর বিষয়টি পুলিশকে বলা হয়েছে।’
শিলিগুড়ি কলেজ, শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ এবং বাগডোগরা কলেজ-সহ অনেক কলেজেই ভোটের সময় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২২ জুনের মধ্যে ক্যাম্পাস খালি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু রবিবার পর্যন্ত বাহিনী ক্যাম্পাসে রয়ে গিয়েছে। এই কারণে পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গা দিতে সমস্যা হবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও কলেজ ছাড়েনি। এতে পরীক্ষার জন্য জায়গা সংকুলান হবে না। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
শিলিগুড়ি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত দেবনাথ বলেন, ‘কলেজে বাহিনী থাকায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। ক্লাসের চেয়ার-টেবিলও অনেকে নিয়ে গেছে। পুলিশকে বললেও পুলিশ কিছু করছে না।’
কলেজগুলির কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন যে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে না। পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ক্যাম্পাস খালি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরকে জানিয়ে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।