দিঘা-কলকাতার সরাসরি যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথ হল ১১৬বি জাতীয় সড়ক। এই রাস্তায় কালভার্ট ধসের কারণে চরম সমস্যা তৈরি হয়। তবে রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্থায়ী মেরামতির কাজ শেষ করে আজ রবিবার থেকে ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ট্র্যাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামলকুমার মণ্ডল জানান, সকাল ১১টা থেকে প্রথমে ছোট গাড়ির চলাচল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটন কর মেটাতে হবে, দিঘার হোটেলগুলিকে কড়া নির্দেশ প্রশাসনের
শনিবার দুপুর প্রায় ১টা নাগাদ মারিশদা থানা সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎই জাতীয় সড়কের কালভার্টের বড় অংশ ভেঙে ধসে পড়ে। মুহূর্তে রাস্তায় তৈরি হয় গভীর গর্ত। বিপজ্জনক পরিস্থিতি বুঝে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ওই রুট পুরোপুরি সিল করে দেয়, বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল। পর্যটক থেকে স্থানীয় মানুষ সবাইকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষত দিঘা থেকে ফেরা পর্যটকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দিঘা-কলকাতা রুটের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজে নেমে পড়ে। ভারী যন্ত্র, শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে চলে টানা কাজ। আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে কালভার্টের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সেতুবাঁধের মতো পাথর ও কংক্রিট ফেলা হয়েছে। ট্র্যাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামলকুমার মণ্ডল জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করে ধাপে ধাপে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে। সকাল ১১টার পর থেকে হালকা যানবাহন চলতে পারবে। ভারী ট্রাক বা বাস চালু করার আগে জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের অনুমতি নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য যানজট রুখতে অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে পুরো অংশ জুড়ে। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র। দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সংস্কার দ্রুতই করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যেহেতু এই জাতীয় সড়ক দিঘা পর্যটন এবং দক্ষিণবঙ্গের পরিবহণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তাই এই কালভার্ট মেরামতে তৎপর প্রশাসন।