শিশুশ্রম হল দণ্ডনীয় অপরাধ। শিশু শ্রমিক বন্ধে লাগাতার প্রচার এবং নজরদারি চালানো হয় প্রশাসনের তরফে। তারপরেও শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। আর এবার এক নাবালিকাকে দিয়ে পরিচারিকার কাজ করানোর অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। যদিও ঘটনাটি বিজেপি শাসিত অসমের। তবে ওই নাবালিকা আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা ডাঙ্গির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে ওই নাবালিকাকে অসমের একটি পরিবার পরিচারিকার কাজ করিয়েছিল। তার জন্য ওই পরিবারকে ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেই টাকা নাবালিকার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। একইসঙ্গে, নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার সিডব্লিউসি কর্তৃপক্ষ। (আরও পড়ুন: মমতার অক্সফোর্ডে যাওয়া নিয়ে 'জলঘোলা', মুখ খুলে পালটা আক্রমণ তৃণমূলের)
আরও পড়ুন: খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার ১৭ জন শিশু শ্রমিক, তাদের দ্রুত হোমে পাঠালো পুলিশ
সুখের খবর, প্রায় চার বছর ধরে অসমের জালুকবাড়ি এলাকায় পরিচারিকার কাজ করছিল ওই নাবালিকা। বিষয়টি নিয়ে অসমের ওই পরিবারের বিরুদ্ধে শিশু শ্রম আইনে অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে গুয়াহাটির কামরূপ মেট্রো সিডব্লিউসি পরিবারকে জরিমানা করে। সিডব্লিউসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে আগে উদ্ধার করে রাখা হয়েছিল অসমের হোমে। তবে দোলের কয়দিন আগে তাকে আলিপুরদুয়ার সিডব্লিউসির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাদের তরফে নাবালিকাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'হ্যারি পটারকে পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড দেবেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী')
আরও পড়ুন: 'ভারত-চট্টগ্রাম ভাগের ছক কষা হচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশি সাংবাদিকের
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত প্রায় পাঁচ বছর আগে। সেই সময় নাবালিকা অসমের পরিবারে পরিচারিকার কাজে যোগ দেয়। সেই ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে গুয়াহাটির সিডব্লিউসি। এরপর নাবালিকাকে উদ্ধার করে রেখে দেওয়া হয়। সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখার পর সিডব্লিউসি জানতে পারে সেখানে প্রায় চার বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করেছে নাবালিকা। এর পরেই সেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটে সিডাব্লিউসি। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে নাবালিকার পরিচয় পত্র না থাকায় তার বাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া জরিমানার টাকাও তাকে দেওয়া যায়নি। ফলে হোমে রেখেই তাকে সেলাইয়ের কাজ শেখানো হয়। তার বাড়ির খোঁজ খবর পাওয়ার পরেই আলিপুরদুয়ার সিডব্লিউসির হাতে তুলে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। (আরও পড়ুন: বাংলায় ৮৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল? দাবি রিপোর্টে)
আলিপুরদুয়ার সিডব্লিউসি’র তরফে জানানো হয়েছে, শিশুশ্রম হল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানার নিয়ম রয়েছে। এরফলে এই ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, কামরূপ মেট্রো সিডব্লিউসি’র বক্তব্য, সিন মেনেই এর জন্য জরিমানা করা হয়েছে। মেয়েটি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল তাই তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিডাব্লিউসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা শয্যাশয়ী। তবে তার মা নেই। এরফলে জরিমানার টাকা তার পরিবারের কাজে লাগবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, ১৪ বছরের কম বছর বয়সি নাবালক, নাবালিকাদের দিয়ে কাজ করালে সেটা শিশু শ্রম আইনে অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।