সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে, কখনও বা টিকিট বুকিংয়ের নামে আবার টাওয়ার বসানোর নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। যার ফলে প্রচুর টাকা খোয়াছেন সাধারণ মানুষ। এমনকী ভিন রাজ্য এবং বিদেশের মানুষও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সাইবার জালিয়াতিদের বিভিন্ন গ্যাং কাজ করছে। এবার এই ধরনের প্রতারণা বা অপরাধ রোধে তৎপর হয়েছে রাজ্য পুলিশ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের মতোই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে তৈরি হচ্ছে আলাদা সাইবার ক্রাইম উইং।
আরও পড়ুন: প্রতারণার ফাঁদে গেল ৪ লক্ষ টাকা, পিছনে কি বাংলা-বিহারের সাইবার অপরাধীরা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের এই সাইবার ক্রাইম উইংয়ের দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাসচিব পদমর্যাদার আইপিএস অফিসার হরিকিশোর কসুমাকার। এছাড়াও, সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং গোয়েন্দারা এই উইংয়ে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য হেল্পলাইন চালু করা হবে। থানার পুলিশ সমন্বয় রেখে সাইবার ক্রাইম উইংয়ের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। সব জেলাতেই সাইবার উইংয়ের শাখা তৈরি করা হবে। তবে সবার দায়িত্বে থাকবেন আইপিএস হরিকিশোর। ১৯৯৮ সালের ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের কম্পিউটারের কাজে দক্ষতা রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে এই বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের সাইবার উইংয়ের প্রধান কার্যালয় কোথায় হবে সে বিষয়টিও ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিউ টাউনে সাইবার ক্রাইম উইংয়ের অফিস করা হবে। যদিও অন্য কোনও আইপিএস অফিসার এই উইংয়ে নিয়োগ হচ্ছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে এখানে কর্মীদের আনা হবে। বিশেষ করে যারা সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী এবং যাদের কম্পিউটার দক্ষতা রয়েছে সেই সমস্ত পুলিশকর্মীদের এখানে নিয়োগ করা হবে।
বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ডিএসপি, ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর প্রভৃতি পদে নিয়োগ করা হবে। এর জন্য তাঁদের আলাদাভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও নিউটাউনের ওই অফিসে এখনও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। এর জন্য সেখানে কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সাইবার ক্রাইম রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ভুয়ো কল সেন্টার। তার মাধ্যমে বহু প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে।