সাইক্লোন আমফান চলে যাওয়ার পরের সকালে দক্ষিণবঙ্গে অন্যান্য জেলাগুলির মতো লন্ডভন্ড হুগলি জেলাও। সকাল থেকেই রাস্তায় গাছ পড়ে অবরুদ্ধ গোটা জেলা। জেলা থেকে এখনো ৪ জনের মৃত্যুসংবাদ মিলেছে।
বুধবার রাতে ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর মধ্যে শ্রীরামপুরে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে চুঁচুড়ায়। ১ জন বাঁশবেড়িয়ায় মারা গিয়েছেন।
শ্রীরামপুরে গাছ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে ঝড়ের সময় বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে একটি বিশাল গাছ। তার নীচে চাপা পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া চুঁচুড়াতেও ঝড়ে বাড়ি চাপা পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। বাঁশবেড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। তার দেহ ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
জেলায় প্রায় সর্বত্র গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ। সব থেকে খারাপ অবস্থা গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে বন্ধ জিটি রোড। শ্রীরামপুরে জিটি রোডের ওপর একটি বিশাল গাছ পড়ে। বেলা বাড়লে গাছটি কেটে সরান প্রশাসনের কর্মীরা। এর পর ধীরে ধীরে যানচলাচল শুরু হয়।
একই পরিস্থিতি উত্তরপাড়া হাসপাতালেও। সেখানে মেইন গেটের সামনে ভেঙে পড়েছে গাছ। যার জেরে হাসপাতালে ঢোকা-বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকল্প পথে জরুরি পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।