আয়লার পর কেটে গিয়েছে এক দশকের বেশি সময়। এখনও শুকোয়নি সেই ক্ষত। তারইমধ্যে 'আমফান'-এর পূর্বাভাসে আশঙ্কার প্রহর গুনছে সুন্দরবন।
মৌসম ভবনের তরফে ইতিমধ্যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আজ, বুধবার বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে সুন্দরবনের কাছে স্থলভূমিতে ঢুকবে 'আমফান'। সেই সময়ে ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার থাকবে। কখনও কখনও তা ঘণ্টাপিছু ১৮৫ কিলোমিটারেও পৌঁছে যাবে। তার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে আশঙ্কা মৌসম ভবনের। বিধ্বংসী প্রভাব পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই সুন্দরবনে। আয়লার থেকেও পরিস্থিতি ভয়াল হতে পারে বলে অনুমান তাঁদের।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৭০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ও ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ‘আমফান’-এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠবে সাগর। স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ মিটার উঁচুতে উঠতে পারে ঢেউ। তার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিচু এলাকায় হুড়হুড় করে ঢুকতে পারে জল। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষবাস। শুধু তাই নয়, মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমফান'-এর দাপটে ব্যাপক পড়বে সুন্দরবনের জীববৈচিত্রে।
তবে শুধু সুন্দরবন নয়, ‘আমফান’ তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল। তিনি জানান, কলকাতায় ‘আমফান’-এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।। উপড়ে যেতে পারে গাছ। বিশেষত উপকূলবর্তী জায়গাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যেতে পারে। অসংখ্য মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মহাপাত্র জানান, পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অত্যন্ত অগভীর। সাধারণ ঢেউই অনেকটা এলাকায় ঢুকে পড়ে। ‘আমফান'-এর যে প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হবে, তাতে জল নদী থেকে ২৫ কিলোমিটার ভিতরেও ঢুকতে পারে।