আরও পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। এই নিয়ে আমফানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮০। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই কথা জানান। এই দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করারও দাবি করেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আকাশপথে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে যে রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিডে রাজ্য কোনও সাহায্য পায় নি, এই দাবি করে তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে যে আশা করা যায় এবার হয়তো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে কেন্দ্র।
এদিকে আমফানের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপ দক্ষিণবঙ্গ। পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত প্রশাসনের। ইলেকট্রিসিটির পোল উপড়ে পড়েছে, সাঁকো ভেঙে গেছে, গাছ রাস্তায় পড়া। ধীরে ধীরে এনডিআরএফ ও স্থানীয় প্রশাসন সেই সব সরাচ্ছে।
পিটিআই জানিয়েছে যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার কিছু অংশে ফের চালু হয়েছে বিদ্যুত ও মোবাইল পরিষেবা। তবে এখনও কার্যত অন্ধকারে ডুবে রাজ্যের বহু অংশ। কবে লাইট আসবে, কবে কী হবে, অনেক জায়গাতেই কোনও সদুত্তর নেই। প্রশাসন সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যে সেটা মেরামত করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃতদের পরিবারদের দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজের জন্য হাজার কোটি টাকার ফান্ড বানিয়েছেন তিনি। কলকাতায় মারা গিয়েছেন ১৯জন, ১৭জন উত্তর ২৮ পরগনায়, ১৪জন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ও ১০ জন বসিরহাটে।
বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। গাছ কাটার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তা সাফ করতে। পাম্পিং স্টেশন চালু করে জমা জল বার করার প্রচেষ্টাও চলছে।