বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে শহিদ মিনারের ৩৭৪ দিন ধরে আন্দোলন চলছিল। পাশপাশি ১৬ দিন ধরে অনশনও চলছে। আচমকা ডেকরেটার্স এসে জানিয়ে দিল তাদের মঞ্চ খুলে ফেলতে হবে। রবিবার সকাল থেকে মঞ্চ খোলা শুরু হয়েছে শুরু করেছে ডেকরেটার্সের কর্মীরা। আন্দোলনতর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ রাজ্য সরকার চক্রান্ত করে ডেকরেটার্সকে দিয়ে মঞ্চ খুলে দিচ্ছে। মঞ্চ খুলে দিলেও খোলা আকাশে নীচেই আন্দোলন হবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকালে সেনার তরফে এক প্রতিনিধি দল আসে। তাঁরা আন্দোকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় তাঁদের ধর্না-অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। সেনার পক্ষ থেকে একটি নোটিসও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘ মুখ্যমন্ত্রীই কলকাঠি নেড়েছেন। কলকাতা পুলিশের কিছু আধিকারিক সেনাকে দিয়ে এটা করিয়েছেন। শনিবার সেনা আধিকারিক এসে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। তারা একটি নোটিসও দিয়ে যায়। তখন থেকে কিছু পুলিশ মঞ্চের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। এ ভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলন চলবে।’
পড়ুন। নারেগায় শ্রমিক ১.৪ কোটি, কেন ২১ লক্ষ? উঠছে প্রশ্ন, বামেরা বলছে, এতদিন কেন দেননি?
ভাস্কর ঘোষর আরও দাবি, ‘আদালত বন্ধ। একেই সুযোগ হিসাবে কাজে লাগানো হয়েছে আমাদের উঠিয়ে দেওয়ার জন্য।’ এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আন্দোলকারীরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চের জন্যই খুলে ফেলা হচ্ছে মঞ্চ।
এদিন সকাল থেকে দেখা যায়, ডেকরেটার্স কর্মীরা সকাল থেকে মঞ্চ খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তাবু, খাট ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।
মঞ্চের এক সদস্য রাজীব দত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শীতের রাতে আমরা ধর্নামঞ্চে থাকব। ঠান্ডায় কেউ যদি প্রাণ হারান তাহলে তার দায়িত্ব কিন্তু সরকারকে নিতে হবে।’
পড়ুন। ‘বিলম্বে বোধদয়…হারবে জেনেই!’ দেবের রাজনীতিতে অনীহা প্রসঙ্গে বললেন হিরণ